মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় এই জিনিসটা জানার আগে আমাদের জানা উচিত ফ্রিল্যান্স শব্দটা কি । ফ্রিল্যান্স মানে মুক্ত পেশা। বর্তমান মানুষের কাছে এটি বেশ পরিচিতই । এই সেক্টরে প্রচুর মানুষ দিনদিন যুক্ত হচ্ছে। কেউ স্কিল নিয়ে আবার কেউ স্কিল ছাড়াই। স্কিল ছাড়া এখানে টিকে থাকাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু স্কিল দিয়েও অনেকে এখানে সফল হতে পারে না টুকটাক ভুলের কারণে ।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে অধিক জনপ্রিয় হচ্ছে ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম ইত্যাদি। এই মার্কেটপ্লেসগুলোয় অনেকগুলো ক্যাটাগরি থাকে অর্থাৎ অনেক ভাগ আছে এখানে। বিভিন্ন প্রকার কাজ আছে যার উদারহণ হিসেবে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।
আগে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যেত অনেকভাবেই । কিন্তু ২০২০ সালে এসে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার চিন্তা অনেকটা বোকামি ই বটে । তবুও কেউ যদি নিজের অবসর টাইমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে চায় তাহলে সে PAID TO CLICK বা PTC অ্যাপ বা সাইটে কাজ করতে পারে । কিন্তু সেটাকে সময়ের এক প্রকার অপচয় ই বলা শ্রেয় । এছাড়া মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার আরেকটা মাধ্যম আছে বিভিন্ন ক্যাপচা সলভ করা । কিন্তু কন্টেন্ট রাইটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় যা অনেকটাই ইফেক্টিভ ।
আরও পড়ুনঃ Facebook Single Name, ফেসবুকে একটি নাম ব্যবহার করবেন যেভাবে (2020)
📷পুরো পোস্টটি মোবাইল অ্যাপস কেন্দ্রিক কথা দিয়ে সাজানো হয়েছে! মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য এটি ইহা নয়! অনেকে অনেক ভাবেই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে চান বা প্যাসিভ ইনকাম করতে চান! যা হাস্যকর ও বটে । কিন্তু একজন অ্যাপ ডেভেলপার অ্যাপ তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারে!
পেইড অ্যাপ
পেইড অ্যাপ মূলত গুগল প্লে স্টোর থেকে ও কেনা যায়, আইফোনের ক্ষেত্রে অ্যাপ স্টোর থেকেও কেনা যায় আবার ডেভেলপারদের নিজের তৈরি সাইট থেকে পাওয়া যায়। টাকাটা মূলত মাস্টারকার্ড ভিসাকার্ড দিয়ে পে করতে হয়। এখন অনেক ডেভেলপারই তাদের নিজেদের তৈরি করা অ্যাপটিকে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে পাবলিশ করে থাকে। এটা তাদের প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম একটা বড় মাধ্যম বটে। অতি সহজেই তারা অধিক ব্যবহারকারীর কাছে নিজেদের তৈরি মোবাইল অ্যাপসটিকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে । উদাহরণস্বরূপ আপনি দেখতে পারেন FL STUDIO MOBILE (ক্র্যাকের কথা বাদ দিয়ে যদি ধরেন) ।
এই অ্যাপ এর প্রাইস ৪৫০ টাকা! ডাউনলোড সংখ্যা দেখলেই বুঝতে পারবেন কি পরিমাণ আয় হয়েছে!
ফ্রিমিয়াম অ্যাপ
অনেকের কাছেই শব্দটি অচেনা মনে হচ্ছে। আসলে ফ্রিমিয়াম শব্দটি ফ্রি এবং প্রিমিয়াম শব্দ দুইটির সংমিশ্রণ। অর্থাৎ একজন অ্যাপ ডেভেলপার যখন প্যাসিভ ইনকামের জন্য নিজের তৈরি করা অ্যাপটিকে দুইভাবে পাবলিশ করে থাকে তখন সেটাইকে ফ্রিমিয়াম এর আওতা ভুক্ত করা যেতে পারে। এভাবে একজন ডেভেলপ যেমন নিজের ফ্রি অ্যাপ দিয়ে ব্যবহারকারী বাড়াতে পারে। ফ্রি অ্যাপটিতে ডেভেলপার কিছু কিছু বিশেষ ফিচার ব্যবহারকারীকে ব্যবহার করতে দেয় না। সেই বিশেষ বিশেষ ফিচারগুলোকেই আনলক করে ডেভেলপার প্রিমিয়াম অ্যাপে দিয়ে থাকে এবং পরে সেটিকে পেইড অ্যাপ আকারে সেল দিয়ে থাকে। এটাই মূলত ফ্রিমিয়াম শব্দটার কন্সেপ্ট। সোজা বাংলায় ফ্রি অ্যাপ তৈরি করে সেগুলার সাথে আরো এক্সট্রা সার্ভিস অ্যাড করে পেইড ভার্সন আকারে বিক্রি করে। উদাহরণ হিসাবে দেখতে পারেন POWERAMP এর কথা! ট্রায়াল ভার্সন আছে ।
এর পাশাপাশি পেইড ভার্সন আছে এটার দাম মাত্র ৮০ টাকা ।
সার্ভিসিং অ্যাপ
সার্ভিসিং অ্যাপ টি আসলে এমন অ্যাপকে বোঝায় যার দ্বারা ব্যবহারকারী বিভিন্ন সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবে। বিভিন্ন সার্ভিস বলতে একজন ব্যবহারকারী পণ্য ডেলিভারি, ফুড ডেলিভারি কিংবা একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য ও ইউজ করতে পারে। এই ধরনের অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে (Uber)। এই ধরনের অ্যাপ এর কন্সেপ্টটা হচ্ছে অ্যাপ টি বায়ার ও সেলারের মধ্যে এক প্রকার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। উভয় ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্লাটফর্ম খরচ অ্যাপ নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশি কোম্পানি PATHAO ।
বিজ্ঞাপনযুক্ত অ্যাপ
বর্তমানের প্রায় প্রতিটি অ্যাপেই একজন ব্যবহারকারীকে নানা প্রকার অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখতে হয়। এই ধরনের অ্যাড একটি অ্যাপ এর বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার হয়। বিভিন্ন অ্যাপ এ কোন কাজ করার জন্য ব্যবহারকারী চাপ দিলেই সেখানে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন চলে আসে যা পরে ব্যবহারকারীকে কেটে দিয়ে তারপর অই কাজটি করতে হয়। মূলত বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্কের অ্যাড থাকে সেখানে। আর বেশিরভাগ ডেভেলপারই তাদের অ্যাপ এ অ্যাড এর জন্য যেই অ্যাড নেটওয়ার্ক ইউজ করে সেটি হচ্ছে গুগলের এডমব। এর পাশাপাশি আরো অনেক অ্যাড নেটওয়ার্ক থাকলেও এক্সট্রা সুবিধা এবং ট্রাস্ট থাকার কারণে এডমব ই বেশ প্রচলিত মোবাইল অ্যাপ এ অ্যাড দেওয়ার ক্ষেত্রে।
এভাবে নানা উপায় অবলম্বন করে একজন অ্যাপ ডেভেলপার আয় করে থাকে! কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিসেই সফল হতে গেলে কিন্তু আগে আপনাকে শ্রম দিতে হবে স্কিল গেইন করতে হবে ধৈর্য্য থাকা লাগবে! কারণ সবকিছু কিন্তু এত সহজে আসবে না! আপনাকে একটা জিনিসের সাথে লেগে থাকতে হবে তাহলেই সাফল্য ধরা দিবে আপনার কাছে । এছাড়াও একজন অ্যাপ ডেভেলপার বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে অ্যাপ তৈরি করে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে । লোকাল ক্লায়েন্টের বিভিন্ন কাজ তারা করে দিতে পারে ।
আরও পড়ুনঃ MX Player এ দেখা যাবে YouTube Video