OthersSoftwareTech News

অ্যাপ মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি – Invest your 10 Minutes and Get free Tips on ASO !

মার্কেটিং? অ্যাপ মার্কেটিং?

কোন ভুল হচ্ছে না তো শুনতে? হ্যা ! মার্কেটিং । ডিজিটাল যুগে এসে প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসের মার্কেটিং হচ্ছে । সেই দিক দিয়ে টেকনোলজি জগৎ কেন পিছিয়ে থাকবে? সত্যিই তো ! মার্কেটিং এর এই জামানায় অ্যাপ মার্কেটিং খুব পরিচিত একটা শব্দ টেক পাবলিক বিশেষ করে মার্কেটারদের কাছে ।

মার্কেটিং জিনিসটি বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইন দুইদিকেই সমানভাবে করা হচ্ছে যদিও কিছুকাল আগেও অনলাইন মার্কেটিং চোখে পড়ত না । কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে হয়ত অনলাইন মার্কেটিং এর প্রতি ই মানুষ চোখ রাখবে । ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক ফিল্ড আছে যেমন Facebook Marketing , Instagram Marketing ,Google Marketing , Bing Marketing , Social Media Marketing , App Marketing ইত্যাদি ।

অ্যাপ মার্কেটিং

অ্যাপ স্টোর অপ্টিমাইজেশন সংক্ষেপে যাকে বলতে পারেন ASO যেটি কিনা পরিচিত আরো কিছু নামে যেমন অ্যাপ স্টোর মার্কেটিং (App Store Marketing এবং মোবাইল অ্যাপ এস ই ও (Mobile App SEO) । ASO এর প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে মোবাইল অ্যাপলিকেশনের র‍্যাংকিংকে ০ থেকে পপুলারের দিকে নিয়ে যাওয়া। কোথায় নিয়ে যাবেন? মোবাইল অ্যাপ স্টোর গুলায় (যেমন: Apple এর আইটিউন্স, Google এর গুগল প্লে স্টোর কিংবা Windows Store)

আগে বুঝুন অ্যাপ মার্কেটিং জিনিসটা কি!

প্রতিদিন ই নিউ নিউ অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের ডেভেলপ করা অ্যাপ প্রকাশ করছে তাদের নিজেদের সাইট বা গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপ স্টোর বা আরো অনেক জায়গায় । মোবাইল অ্যাপ সবচেয়ে বেশি পাবলিশ হয় গুগল প্লে স্টোরে । নিউ নিউ আইডিয়া নিয়ে তৈরি হয় যেরকম অ্যাপ ঠিক তেমনি কমন কিছু জিনিস নিয়েও রয়েছে হাজার হাজার অ্যাপ । এই বিশাল প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজের অ্যাপ কে ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ই মূলত অ্যাপ মার্কেটিং করা হয় ।

আপনি যদি অ্যাপ স্টোর অপ্টিমাইজেশনে নতুন হয়ে থাকেন আর জানেন না বিষয়টি কি তাহলে জেনে রাখুন এটি আসলে অনেকটা আপনার অনলাইন ব্যবসার মত যেমনটা আপনি ভাবেন এটা ঠিক তেমন না।

আরও পড়ুনঃ First Official Look: OnePlus 8T. Are you exited?

অ্যাপ স্টোর অপ্টিমাইজেশন হচ্ছে এরকম ধরনের প্রক্রিয়া যেটা দিয়ে গেইম বা অ্যাপলিকেশন এর ডাউনলোড সংখ্যা বাড়ে , অরগানিক ট্রাফিক (ব্যবহারকারী) পাওয়া যায় এবং সার্চ করলে যাতে সার্চলিস্টে প্রথম দিকে থাকে । ASO করলে সাথে সাথেই এর রেজাল্ট দেখা যাবে না । এটি একটি দীর্ঘ প্রসেস অনেকটা এস ই ও এর মত ।

আসলে ওয়েবসাইটের জন্য যেভাবে এস ই ও(SEO) করলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায় ঠিক সেভাবে এ এস ও (ASO) করলেও সেরকম সুবিধা পাওয়া যেতে পারে অ্যাপ এর ক্ষেত্রে । কিন্তু এটি অনেকগুলা বিষয়ের উপর নির্ভর করে । বাজেট , ইন্ডাস্ট্রি , দেশ ভেদে ASO এর রেজাল্ট নির্ভর করে । এটির সুফল সাথে সাথেও দেখা যেতে পারে আবার কিছু দেরিতেও দেখা যেতে পারে । এটি আসলে কিছুদিনের পার্থক্য এর মত । কিন্তু কেউ ই সঠিকভাবে বলতে পারব না ঠিক কত দিন নাগাদ এর সুফল সঠিকভাবে পাওয়া যাবে । অ্যাপ মার্কেটিং এর একটি পার্ট ই হচ্ছে ASO .

অ্যাপ মার্কেটিং

অ্যাপ মার্কেটিং কেন?

অ্যাপ মার্কেটিং করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন । সাইটকে গুগলের ১ম পেজে নিয়ে যেতে যেরকম SEO করতে হবে ঠিক তেমনি অ্যাপ মার্কেটিং এর জন্য সঠিকভাবে ASO করা অত্যন্ত জরুরী । কিন্তু আমরা অনেকেই না জেনে , না বুঝে , নানা রকম স্প্যামিং করে নিজের অ্যাপ কে প্রচার করার চেষ্টা করি কিংবা ডলার দিয়ে অ্যাড রান করে ফেলি ।

কিন্তু ফেসবুকে যেরকম আপনি কার্ডে ডলার ভরে তা দিয়ে বুস্ট করে ভাল রেজাল্ট পান না ঠিক তেমনি শুধু অ্যাড রান করিয়েই আমরা ভাল ফিডব্যাক পাব না । অনেকে হয়ত সাময়িক রেজাল্ট দেখেই খুশিতেই গদ্গদ হয়ে যান কিন্তু আসল খবর পান না যার কারণে কিছুদিন যাওয়ার পর ই আপনাদের এডমব একাউন্ট ডিসেবল করে দেয় আর না হয় মাস শেষে আপনার এডমব থেকে ডলার কেটে রেখে দেওয়া হয় ইনভ্যালিড ট্রাফিকের জন্য । ASO (অ্যাপ স্টোর মার্কেটিং) এর প্রধান উদ্দেশ্য যেমনি অ্যাপ এর ডাউনলোড সংখ্যা বৃদ্ধি করা ঠিক তেমনি আরো অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায় এটির মাধ্যমে।

অ্যাপ মার্কেটিং কিভাবে?

অ্যাপ মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অনেকগুলা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে । এই জিনিসগুলার সাথে ভালভাবে পরিচিত হতে পারলে আপনার বেসিক ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং প্র্যাক্টিক্যালি আপনি বিষয়গুলা ব্যবহার করলে ভাল রেজাল্ট পেতে আশা করি কোন সমস্যা হবে না । অ্যাপ মার্কেটিং করার জন্য আপনি গুগলে অ্যাড দিতে পারেন Adwords দিয়ে । তাছাড়া আপনি ফেসবুকে আপনার অ্যাপ এর জন্য পেজ খুলে সেটাকে বুস্ট করাতে পারেন । এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ইউটিউবারদের স্পন্সর হিসেবে নিজের অ্যাপকে তাদের দিয়ে প্রোমোট করাতে পারেন । যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে এই জিনিসটি এখনো সেইভাবে জনপ্রিয় না ।

অ্যাপ মার্কেটিং করার জন্য কিছু কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল রয়েছে যেগুলার মধ্যে Sensor Tower , MobileDevHQ , Appcod es এবং Searchman SEO অন্যতম । এগুলার মধ্যে কিছু পেইড আবার কিছু হচ্ছে ফ্রি ।

অ্যাপ মার্কেটিং এর সুবিধা:

ভালভাবে ASO করতে পারলে খুব সহজেই ভাল পরিমাণ ইন্সটল পাওয়া যেতে পারে । একজন অ্যাপ ডেভেলপার ও চায় যাতে তার অ্যাপ এ ইন্সটল সংখ্যা বাড়ুক । আর এটি যদি নামমাত্র খরচে পাওয়া যায় তাতে দোষের কিছু নেই । সঠিকভাবে অ্যাপ মার্কেটিং করতে পারলে সঠিক ইউজার পাওয়া যায় । এতে অ্যাপ ব্যবহারকারী যেমন পাওয়া যায় । এতে ফেইক ইন্সটল থেকেও মুক্ত থাকা যায় এবং এক্টিভ ইউজার ও পাওয়া যায় । আর যত বেশি এক্টিভ ইউজার পাওয়া যাবে ততবেশি অ্যাপ ইউজ হবে । আর যত বেশি অ্যাপ ইউজ হবে ঠিক সেরকম পপুলারিটি পাবে যা পরবর্তীতে মার্কেটিং খরচকে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবে । তাছাড়া আয়ের পরিমাণ ও বাড়বে । যা কিনা প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ করে দিবে ।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় অ্যাপ বানিয়ে

অ্যাপ স্টোর অপ্টিমাইজেশন এর কিছু টিপস:

অ্যাপ মার্কেটিং শুরু হয় অ্যাপ লঞ্চ এর আগেই এবং এটি চলতে থাকে অ্যাপ রিলিজ হওয়ার পর থেকেই । এখানে ভাল ফলাফল নিয়ে আসার জন্যে অনেকদিকে লক্ষ্য করা হয় । এখানে ছোট বড় কিছু বিষয়গুলা জানা প্রয়োজন অ্যাপ মার্কেটিং করার আগে তা হল:

ভাল এবং মানসম্মত ডেস্ক্রিপশন দেওয়া:-

আপনার অ্যাপ এই জিনিসটি যদি ভাল ভাবে না দেন তাহলে একজন ব্যবহারকারী ৯০% চান্স থাকবে সেটা এড়িয়ে যাবে! কারণ ইউজাররা সবসময় অ্যাপ ইন্সটলের আগেই অ্যাপ এর ডেস্ক্রিপশন ভাল করে পড়ে নিয়ে তারপর সেই অ্যাপ নিজেদের ফোনে ইন্সটল করে থাকে । এটা যদি আপনি না করেন তাহলে একজন ব্যবহারকারীর মন নিতে পারবেন না কারণ তাদের এত সময় নেই যে খুটিয়ে খুটিয়ে ডাউনলোড করে আপনার অ্যাপ দেখবে কারণ প্লে স্টোরে হাজার হাজার অ্যাপ আছে! তাই সবকিছু ডিটেইলস না হোক ব্যবহারকারী যেন আকৃষ্ট সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত যখন কেউ অ্যাপ মার্কেটিং করবে !

Description
Credit: Google Analytics অ্যাপ এর ডেস্ক্রিপশন

অ্যাপ মার্কেটিং করার সময় ভাল একটি টাইটেল দেওয়া খুবই জরুরি একটি বিষয় । এছাড়া ভাল মানের ইমেজ এবং ভিডিও সেই জিনিসটাকে আরো বহুত গুণে বাড়িয়ে দেয় তার পাশাপাশি ডেস্ক্রিপশন ও ভাল ভূমিকা পালন করে থাকে । গুগল প্লে স্টোরে ডেস্ক্রিপশন এবং অ্যাপ স্টোরের জন্য সাব টাইটেল ভালভাবে দেওয়া থাকলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব । ৪০০০ শব্দ দিয়ে আপনি আপনার অ্যাপ এর ফিচার এবং সুবিধা লেখতে পারবেন প্লে স্টোরে অ্যাপ পাবলিশের সময় ডেস্ক্রিপশন বক্সে । প্রথম লাইনটিই হবে সবচেয়ে বেশি ইফেক্টিভ । সেটি দেখে অনেককিছু ঠিক করবে ইউজার । অ্যাপ মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টপিক এটি ।

সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ:-

অ্যাপ স্টোর র‍্যাংকিং এর জন্য কিওয়ার্ড জিনিসটা খুব ইফেক্টিভলি কাজ করে । তাই সঠিক কিওয়ার্ড ঠিক করার জন্য এই জিনিসটার প্রতি ভাল সময় দিতে হবে যাতে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায় । আপনি যদি সঠিক ভাবে এটা করতে না পারেন তাহলে আপনার অ্যাপ যতই ভাল হোক সফলতা পাওয়া টাফ আপনার জন্য! ওয়েবসাইট র‍্যাংক এ নেওয়ার জন্য যেমন SEO করা হয় ঠিক তেমনি অ্যাপ মার্কেটিং এর জন্য ASO করা হয় ।

কিন্তু সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ আপনার উভয় ক্ষেত্রেই করা লাগবে । এর কারণ হচ্ছে ইউজাররা কখনোই একটি অ্যাপ একভাবে সার্চ করবে । একেক ইউজার একেকভাবে নিজের পছন্দ মত কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে । এক্ষেত্রে আপনার অ্যাপ যদি সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ না করা হয় তাহলে এই জায়গায় এসে বিশাল ধাক্কা খেতে হবে অ্যাপ টিকে যা খুব একটা সুখকর হবে না ।

উদাহরণ স্বরূপ আপনি প্লে স্টোরে Ridmik Keyboard লিখে সার্চ দিলে অ্যাপটিকে প্রথম অবস্থানে দেখতে পাবেন আবার Bangla Keyboard টাইপ করে সার্চ দিয়ে দেখলে তাদের অ্যাপটিকে ২য় অবস্থানে দেখতে পাবেন ।

অ্যাপ এর প্রোডাক্ট পেজ:-

আপনি আপনার অ্যাপ এর প্রোডাক্ট পেজ কিভাবে প্রকাশ করবেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে । কারণ কনভার্সন রেট (ডাউনলোড) ভাল করতে হলে আপনার প্রোডাক্টটিকে ভালভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে । অ্যাপ এর লোগো বা আইকন নিয়ে বেশি কিছু বলার নাই। কারণ প্রথম দেখাতেই অনেক কিছু ঠিক হয়ে যায়! ঠিক সেমনি আপনার অ্যাপ এর আইকন কিছুটা আই ক্যাচি হলে খুব সহজেই ইউজারদের চোখে পড়বে ।

Image Add
Credit: YouTube অ্যাপ এর স্ক্রিনশট

কিছুটা ইউনিক হলে সেটা টেস্টের জন্য হলেও অনেক ব্যবহারকারী অ্যাপ ইন্সটল করবে । যদিও ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় অ্যাপ ছাড়া অন্যান্য অ্যাপ ইন্সটল সচরাচর ইন্সটল করে না তবুও আগ্রহবশত সে একবারের জন্য ও হলেও সেই অ্যাপ ইন্সটল করে দেখবে । আর যদি আপনার অ্যাপ এর ফিচার বা অন্যান্য বিষয় তার মনে ধরে যায় তাহলে তো খুব সহজেই আপনি মার্কেটিং এর cost কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন ।

আপনার দেওয়া ইমেজটি অবশ্যই ভাল কোয়ালিটির হতে হবে । বেশিরভাগ অ্যাপ এই স্ক্রিনশটযুক্ত ইমেজ অ্যাড করে থাকে । কিন্তু ভাল এবং কোয়ালিটি ইমেজ যুক্ত করে না বিধায় তেমন সাড়া পায় না । তাই অনলাইনে বিভিন্ন টুল আছে যা দিয়ে অনায়াসেই খুব কম সময়ে ভাল মানের ইমেজ নিয়ে আসা যেতে পারে ।

উদাহরণ হিসেবে যেই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি YouTube অ্যাপ এর ।

ভাল থাম্বনেইল এবং স্ক্রিনশট অ্যাড:-

থাম্বনেইল ইমেজ এবং স্ক্রিনশট ইউজ করতে হবে ভালভাবে প্রোমোট করার আগে । এতে আপনার অ্যাপ এর ডাউনলোড সংখ্যা বাড়বে । আপনার অ্যাপ দিয়ে একজন ইউজার কি কি করতে পারবে , কোন কোন কাজে আপনার অ্যাপ একজন ইউজার ব্যবহার করবে এইসব প্রধান জিনিস নিয়ে একটি ভাল ভিডিও যুক্ত করলে সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর কাছে বিষয়টি গ্রহনযোগ্যতা পাবে ।

গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর উভয়ই ডেভেলপারদের অ্যাপ এর ভিডিও অ্যাড করা সুযোগ করে দিয়েছে অ্যাপ স্টোর/গুগল প্লে স্টোরে । অ্যাপ স্টোরে ভিডিওটা অটো প্লে হতে থাকে যেখানে গুগল প্লে স্টোরে ইউজার ক্লিক করলে ভিডিও প্লে হয় (জেনে রাখা ভাল ভিডিওটা ইউটিউবে পাবলিশ করা থাকতে হবে) । এতে গুগল প্লে স্টোরের চেয়ে অ্যাপ স্টোরে বেশি মানুষের কাছে অ্যাপ এর ভিডিওতে ভিউয়ার পাওয়া যায় ।

Video Add
Credit: Dream League Soccer 2020 এর ভিডিও

আপনার দেওয়া ভিডিওটি হতে হবে ছোট কিন্তু কার্যকরী । এছাড়া সাবটাইটেল যুক্ত থাকলে তা অনেক ভাল কাজে দিবে । কারণ অনেক ইউজার ই আছেন যারা ফোনে সাউন্ড ছাড়া ভিডিও দেখবে । আর সাব টাইটেলটি ইংরেজি হলে আরো ভাল হবে । এতে অ্যাপ মার্কেটিং করলে বিদেশী ইউজার পেতে অনেক সহজ হবে ।

সেই ভিডিওটিতে অ্যাপ ইউজ করলে একজন ব্যবহারকারীকে কি কি সুবিধা পাবে সেই জিনিসটা ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দিলে ইউজার আগ্রহ পাবে । তাছাড়া ভাল মানসম্মত আই ক্যাচিং থাম্বনেইল ইউজ করতে হবে । এটি মূলত গুগল প্লে স্টোরের জন্য কার্যকরী হবে কারণ অ্যাপ স্টোরে অটো ভিডিও প্লে হলেও গুগল প্লে স্টোরে সেটি হয় না তাই চোখ ধাঁধানো(এট্রেক্টিভ) ইউনিক থাম্বনেইল ভাল রেজাল্ট আনতে সহায়তা করবে ।

উদাহরণ হিসেবে এখানে Dream League Soccer 2020 এর ভিডিওকে দেখানো হয়েছে ।

অ্যাপ রেটিং:-

অ্যাপ মার্কেটিং এর মধ্যে এটি অফ পেজ অপ্টিমাইজেশনে ভাল কাজ করে । ইউজারদের কাছে ভদ্র ভাবে অ্যাপ এর রেটিং চাওয়া উচিত । কারণ এটি অন্যান্য ইউজারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে সুবিধা করে দিবে অ্যাপ টিকে । যখন কোন ইউজার দেখবে একটি অ্যাপ এর সিংহভাগ ই ৪ স্টার বা ৫ স্টার রেটিং তখন সে সাহস করে অ্যাপ টি ইন্সটল করতে পারে । আর হ্যা রেটিংস খারাপ হলে ইউজার যেমন আগ্রহ দেখাবে না ঠিক তেমনি রেটিং খারাপ হলে সার্চ করলেও অনেক সময় সার্চ র‍্যাংকিং এ আসাটা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে উঠে ।

App Rating
Credit: Dua For Muslim অ্যাপ এর রেটিং

১* দেখলেই রেগে না গিয়ে সেটার সলুশন বের করা উচিত । একটি অ্যাপ সব ব্যবহারকারীকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না । কিন্তু যখন কোন ব্যাড রেটিং আসবে সেই বিষয়গুলোর সমাধান নতুন আপডেটে নিয়ে আসলে ব্যবহারকারীর রেটিং চেঞ্জ ও হয়ে যেতে পারে ।

অ্যাপ রিভিউ:-

app review
Credit: Dua For Muslim অ্যাপ এর রিভিউ

এটি অনেকটা অ্যাপ রেটিং এর মতোই । যদিও রেটিং পাওয়ার চেয়ে একজন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে রিভিউ নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার তবুও পর্যাপ্ত ক্রিয়েটিভিকে কাজে লাগিয়ে একজন মার্কেটার খুব সহজেই রিভিউ নিতে পারবে ।

ভাল ইউজার ইন্টারফেজ:-

অ্যাপ এর UI/UX ভাল হলে অনেকেই অ্যাপটিতে কিছু কম ফিচার থাকলেও ব্যবহার করবে । কারণ অনেক অ্যাপ ই ভাল ইউজার ইন্টারফেজ প্রোভাইড করতে পারে না । কিছুটা জটিল করে নেয় বিষয়টিকে । সেইদিক বিবেচনা করলে আপনার অ্যাপ টি যদি ভাল ইউজার ইন্টারফেজ আর সহজ সিস্টেম করতে পারেন সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারী আপনার অ্যাপ টি ব্যবহার করতে পারে ।

সঠিক ক্যাটাগরি সিলেক্ট:-

Category
Credit: Google Play Store এর বিভিন্ন ক্যাটাগরি

গুগলের প্লে স্টোরে অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে । সেখানে যেমন অ্যাপ আছে এর পাশাপাশি গেইম ও আছে । আছে নানা রকম সাব ক্যাটাগরি । একাধিক ক্যাটাগরি থাকার সময় প্রায়শই বিগিনাররা ভুল ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে ফেলে যার কারণে অ্যাপ মার্কেটিং করার পর ও খুব ভাল রেজাল্ট আসে না । তাই অ্যাপ পাবলিশ করার সময় এদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন ।

আপ টু ডেট:-

আপনার অ্যাপ টি সময়ের সাথে আপ টু ডেট রাখা উচিত । আপনি যদি সেটি রাখতে পারেন তাহলে আপনি আপনার অ্যাপ ব্যবহারকারী ধরে রাখতে পারবেন অন্যথায় আপনার অ্যাপ ব্যবহারকারী ধীরে ধীরে কমতে থাকবে । অ্যাপ মার্কেটিং করার সময় অ্যাপটি যাতে আপ টু ডেট থাকে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত যাতে ভুল অ্যাপ এর মার্কেটিং না হয় কারণ আপ টু ডেট না থাকা অ্যাপ যদি মার্কেটিং করে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করা হয় তখন হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে ।

উদাহরণ হিসেবে আপনি যদি ২০২০ সালের IPL খেলা দেখার জন্য অ্যাপ নিয়ে আসেন কিন্তু ২০২১ সালে এসেও ২০ সালের IPL এর ডেটা রাখলে স্বাভাবিকভাবেই সেই অ্যাপ কেউ ইউজ করবে না ।

ভাল হেডলাইন:-

আপনার অ্যাপ এর নামটি যেন সেই হেডলাইনে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । আপনার অ্যাপ কি কি কাজ করতে পারে সেটিও অ্যাপ প্রকাশের সময় হেডলাইনে যুক্ত করে ফেলতে হবে । এর কিছু উদাহরণ হচ্ছে Uber .

Uber Eats
Credit: Uber Eats

Uber অ্যাপ এর আরেকটি অ্যাপ Uber Eats এ হেডলাইনে হিসেবে আছে Food Delivery । এখানে উনাদের হেডলাইনের মাধ্যমে স্পষ্ট জানা যাচ্ছে তারা কি টাইপ সার্ভিস বা কাজ করা যাবে তাদের অ্যাপ টি ব্যবহার করে । এতে খুব সহজেই অ্যাপ মার্কেটিং করা যায় এবং ASO তেও কাজে আসে ।

ভাল অ্যাপ আইকন/অ্যাপ লোগো :-

আইকন বা অ্যাপ লোগো যাই বলেন না কেন টেক্সট বেইজড না করে ডিজাইন ডেইজড করলে জিনিসটি দেখতে আকর্ষণীয় লাগবে অন্তত গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে । ফার্স্ট ইম্প্রেশনে কাজে আসবে এটি । টেক্সট বেইজড আইকন দেওয়া যাবে না এমনটা বলাটাও আসলে ঠিক না । কিন্তু একটি অ্যাপ এর লোগো খুব জরুরি (Vital) ভূমিকা পালন করে । একটি অ্যাপ কে যদি একটি ব্র্যান্ডের সাথে তুলনা করেন তাহলে একটি লোগো সেই ব্র্যান্ডের জন্য খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।

পুন:মূল্যায়ন:-

সবকিছু বার বার রিচেক করা! কারণ ইউজার কোন প্রবলেম পেলেই সাথে সাথে তার কাছে একটা নেগেটিভ ভাব কাজ করে। তাই ইউজার যাতে কখনোই এই ধরনের প্রবলেম ফেইস না করে সেদিকে লক্ষ্য করে সেইভাবে নিজের অ্যাপকে তৈরি করা । কারণ নেগেটিভ ভাব একবার এসে গেলে সেটি দূর করা বড্ড কঠিন এই কম্পেটেটিভ ফিল্ডে যেখানে হাজার হাজার প্রতিযোগী রয়েছে ।

আরও পড়ুনঃ Realme Q2 সিরিজ লঞ্চ হচ্ছে অফিসিয়ালি !

এভাবেই অ্যাপ মার্কেটিং করার আগে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখলে আশা করা যায় ভাল একটা রেজাল্ট আসবেই ইনশা আল্লাহ ।

একটি অ্যাপ কে র‍্যাংকে নিয়ে আসার জন্য সেই অ্যাপটিকে ভালভাবে ASO করতে হবে । আর এটা অ্যাপ পাবলিশের আগেই করে নেওয়া ভাল । অ্যাপ পাবলিশের আগে যেই অ্যাপ এর সার্চ ভলিউম , কম্পিটেটর এনালাইসিস এসব বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেওয়া উচিত । অ্যাপ পাবলিশের আগে ভালভাবে প্রচার প্রসার করার প্ল্যান রাখা দরকার । আগে থেকেই অডিয়ান্স ঠিক করে রাখা দরকার যাতে অ্যাপ পাবলিশের পর ইউজার সংকটে না ভুগে ।

অ্যাপ মার্কেটার এর চাহিদা এখন দিন দিন বেড়েই চলেছে । কারণ প্রায় প্রতিটি কোম্পানি বা অ্যাপ ডেভেলপাররা চাচ্ছে তার অ্যাপ সার্চলিস্টে প্রথম তালিকায় থাকুক । এরজন্য ভাল ASO স্ট্রেটিজি এপ্লাই করলে খুব সহজেই অ্যাপ এর ডাউনলোড সংখ্যা বাড়বে । অ্যাপ লঞ্চ এর করার আগেই যদি অ্যাপ এর মার্কেটিং করা যায় তাহলে অ্যাপ টি ভাল পজিশনে খুব সহজেই নিয়ে যাওয়া যাবে । এরপর অ্যাপ লঞ্চ করার পর খুব একটা ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে না ।

Related Articles

Back to top button